১টা মুরগী,শিয়াল এবং আমাদের প্রধানমন্ত্রী...

লিখেছেন সত্য কথা ১০ এপ্রিল ২০১১, রাত ০২:৩১

এক দেশে এক মুরগী ছিল।মুরগী না আসলে ছিল এক মোরগ।মোরগটা ছিল দেখতে অদ্ভুত সুব্দর।নাদুস-নুদুস।যেমন তার গায়ের রঙ,তেমনি ছিল তার ঝুটিটার বাহার।লাল টুকটূকে একটা ঝুটি।পালকগুলু ছিল পালিশ করা স্বর্ণের মত।দেখতে সে যেমন সুব্দর ছিল,তার আচার-আচরণও তেমন ছিল রাজকীয়।মোরগটার সঙ্গী হিসেবে ছিল ৭টা মূরগী।৭সঙ্গীনীকে নিয়ে ভালই দিনকাল চলছিল তার।এক সকালে মোরগটা তার মুরগীদের নিয়ে যখন গান গাচ্ছিল,চুপিচুপি সেখানে আসল এক শিয়াল।মোরগটা পিছন ফিরে সেই ধুর্ত শিয়ালটাকে দেখে যখন ‘কক কক’ আওয়াজ় করে উড়ে যেতে নিবে,ঠিক তখন শিয়ালটা বলল-প্রিয়তম,আপনার ক্ষতি করা আমার কোন উদ্দেশ্য না।আমি লুকিয়ে লুকিয়ে আপনার গান শুনছিলাম।আপনার কণ্ঠস্বর অদ্ভুত সুন্দর।কিন্তু গানের ব্যপারে আপনার পিতার তুলনাই হয়না।আপনার পিতা চোখ বন্ধ করে গলাটাকে উচুঁ করে গান গাইতেন।দেখেনতো আপনিও আপনার পিতার মত গান করতে পারেন কিনা???তোষামোধে মুগ্ধ হয়ে মোরগটা যেই গলা উচুঁ করে চোখ বন্ধ গান ধরল,অমনি শিয়ালটা ১লাফে তাকে চেপে ধরে ভোঁ দৌড় জ়ঙ্গলের দিকে।

মোরগটাকে শিয়ালের থাবায় পড়তে দেখে তার সঙ্গী মুরগীগূলো কক কক আওয়াজ়ে পাড়া জ়াগিয়ে ফেলল।তাদের আওয়াজ় পেয়ে গৃহস্ত এবং তার ছেলে-মেয়েরা লাঠি-সোটা নিয়ে ধাওয়া করল শিয়ালের পিছনে।শিয়ালও পৌছেঁ গেছে প্রায় জঙ্গলের কাছে।মোরগটা পিছনে তার এতো উদ্ধারকারী দেখে কিছুটা সাহস ফিরে পেল।এবং সেই সাথে বুদ্ধি।সে শিয়ালটাকে বলল-স্যার,আমি যদি আপনার জায়গায় হতাম,পিছনের লোকগূলোকে বলতাম-ওহে,মূর্খের দল!আমি জঙ্গলের কাছে পৌছেঁ গেছি।মোরগটাকে আমিই খাব,তোরা মোরগটাকে উদ্ধার করতে পারবিনা।
শিয়ালটা বলল-তুমি ঠিক বলেছ।তোমাকে আমিই খাব।শিয়ালটা যেই কথা বলার জন্য মুখ খোলল-মোরগটা তার মুখ থেকে উড়ে গিয়ে একটা গাছে গিয়ে আস্রয় নিল।

জ়িউফ্রে চসারের এই গল্পটা আমি যখনি পড়ি আমার চোখে ভেসে উঠে প্রধানন্ত্রীর চেহারা।কারণ গল্পটার শিক্ষা হচ্ছে-‘যখন চোখ খোলা রাখার কথা তখন যদি কেউ চোখ বন্ধ রাখে এর পরিণতি মারাত্নক।ঠিক তেমনি যখন মুখ বন্ধ করা দরকার(আত্ন-সংযম)তখন যদি কেউ না করতে পারে তখন দুর্ভোগের বোঝা চাপে’।

আমার মনে হয় প্রধানমমত্রীর ২টা কাজ়ই করেন।যা দেখের কথা তা না দেখে চোখ বন্ধ করে রাখেন।আবার যখন মুখ বন্ধ তথা আত্নসংযমের দরকার তখন তা করতে পারেননা।
গল্পটা পড়লেই আমার প্রধানমন্ত্রীর কথা মনে হয়ে যায়।এখনো পড়ছিলাম এবং প্রধানমন্ত্রীর চেহারা চোখের সামনে ভাসছিল।তাই সবার সাথে শেয়ার করলাম।

বি.দ্রঃএটা আমার একান্ত অনুভূতি।প্রধানমন্ত্রী কিংবা তার কোন ‘ফ্যান’কে আঘাত করার জন্য এই গল্প না।অনেকেই আমার অনুভুতির সাথে একমত বাও হতে পারেন।কিন্তু দয়া করে বিতর্কে জড়ায়েননা।কারণ বিতর্কের জন্য গল্পটানা,শুধু অনুভুতিটা শেয়ারের জন্য।