সন্তানের সব চেয়ে বড় আশ্রয় বাবা মা।আমি ফেলানী ফিরছিলাম নির্ভরতার প্রতিক সেই বাবার সাথে।কিন্তু তোমাদের বন্ধু রাস্ট্রের সীমান্ত রক্ষীদের গুলিতে ঝাঝঁরা হয়ে গেল আমার বুক।পানি পানি বলে যখন কাদঁছিলাম আমার অসহায় গরিব বাবা পারেনি মৃত্যূ পথযাত্রী মেয়ের মুখে ১টূ পানি তুলে দিতে।তোমরা কি এক পিতার সেই যন্ত্রনাটা উপলব্ধী করতে পারো???চোখের সামনে যার সন্তান মৃত্যু যন্ত্রনায় পানি পানি বলে কাতঁড়াচ্ছে,সেই সন্তানের মুখে পিতা হয়ে পারছেনা পানি তুলে দিতে।তোমাদের মত আর্থবিত্ত নাইআমাদের।কিন্তু আমাদের অন্তরেও আল্লাহ মায়া ভালবাসা দিয়ে পাঠিয়েছেন।তোমাদের আদরের সন্তানের কোন চাওয়া পূরন করতে না পারলে তোমরা যেমন কস্ট পাও,আমার বাবারাও তেমন কস্ট পায়।শূধু পার্থক্য তোমাদের মত আমাদের সামর্থ্য নাই।কষ্ট কিন্তু একি।আমার বাবা চেয়ে দেখল তার মেয়ের মৃত্যু যন্ত্রনা।পানি পানি বলে আহাজারি।কিন্তু পারলনা তোমাদের বন্ধু রাস্ট্রের সীমান্ত রক্ষীদের শক্তির কাছে জয়ী হতে।সীমান্তে রচিত হলো আর এক কারাবাল…পানি পানি বলে এক অসহায় মেয়ের আহাজারি।কারবালার শহীদরা যেমন কাছে পানি থেকেও পায়নি ১ফোটাঁ পানি।নদী মাতৃক এ দেশে চার পাশে এতো পানি থাকতে তোমাদের বন্ধু রাস্ট্রের সীমান্ত বাহিনীর অমানবিকতায় আমিও পেলেমনা মৃত্যুর সময় ১ফোঁটা পানি...
আমি ফেলানী ঝুলছি...পানি পানি বলে চিৎকার করছি...
আচ্ছা,তোমরা কি বুঝ ১বাবার কস্ট যে তার মৃত্যুপথযাত্রী সন্তানের মুখে পানি তুলে দিতে পারেনা।তোমরা কি বুঝ ১ মৃত্যূর যন্ত্রনা,যে মরার সময় ও পানি পানি বলে কেদেঁ ১ফোঁটা পানি পায়না..
No comments:
Post a Comment