প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আওয়ামীলীগ আয়োজ়িত আলোচনা সভায় ভাষণ দানকালে বলেন-“স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার কোনো ম্যান্ডেট জ়িয়ার ছিলনা।কারণ স্বাধীনতার ঘোষণা দেয়ার জ়ন্য জনগনের যে ম্যান্ডেট লাগে,সেটা জ়িয়ার ছিলনা।ছিল বঙ্গবন্ধুর।প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সত্য।জনগনের ম্যান্ডেট ছিল সেদিন বঙ্গবন্ধুর প্রতি।জিয়ার প্রতি না।সারা দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল তাদের প্রিয় নেতা কি ঘোষণা দেয় তা শুনার জন্য।কিন্তু দুর্ভাগ্য জনগনের।সেদিন যার মুখের দিকে তাকিয়ে ছিল তিনি কোন নির্দেশনা দেননি।দিয়েছিলেন এক অখ্যাত মেজর-জিয়াউর রহমান।সারা দেশবাসী যখন ছিল ঘোর অন্ধকারে নির্দেশনাহীন,তখন এক দেশ প্রেমিক অখ্যাত মেজরের কন্ঠে ভেসে আসছিল সেই বহুল প্রত্যাশিত ঘোষণা-প্রিয় দেশবাসী,আমি মেজর জিয়া বলছি।আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ ঘোষণ করছি।আপনারা প্রতিহত করুন।

(চট্রঘাম কালুর ঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬মার্চমেজর জিয়া এই ঘোষণ দেন।)
এই সেই ঘোষণা যে ঘোষণায় দিক-ভ্রান্ত জনতা পেয়েছিল নির্দেশনা।যে ঘোষণা স্বাধীনতা প্রিয় মানুষগূলূর রক্ত কনিকায় আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল।যে ঘোষনায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিল স্বাধীনতা প্রিয় মানুষগূলূ সসস্ত্র সংগ্রামে।
এই হচ্ছে চরম বাস্তবতা।ইতিহাস।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,ইতিহাসকে স্বীকার করে নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।ইতিহাসকে অস্বীকার করে কি লাভ বলুন???ইতিহাস তার আপন মহিমায় উজ্জ্বল।তাছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,যার যার অবদান তাকে দিলে কারো ভাগে কম পড়ে যায়না।জিয়ার অবদান জ়িয়াকে দিলে মুজিবের ভাগে কিছুই কম পড়বেনা প্রধানমন্ত্রী।প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে আপনি আসীন।আপনার মনটা অনেক উদার হবে এবং দল মত নির্বিশেষে সবাই আপনার স্রদ্ধা পাবে,নতুন প্রজন্মের একজন হিসেবে এই আমাদের কামনা।
No comments:
Post a Comment