নারীদের আর্থ-সামাজ়িক অবস্থানের উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার ‘নারী উন্নয়ন ২০০১১’নামে ১টা নীতিমালা প্রনয়ণ করেছে।নতূন নীতিমালার খসড়া মন্ত্রিসভা অনুমদন করেছে।নতূন নীতিমালায় নারীর অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে বেশ কিছু প্রস্তাব রয়েছে।এ নীতিমালায় উপার্জন,উত্তারিধাকার,ঋন,ভূমি ও বাজ়ার ব্যবস্থাপনের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের ক্ষেত্রে নারীর পুর্ণ ণিয়ন্ত্রনের বিধান রাখা হয়েছে।রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে পর্যায়ক্রমে ৩৩শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৩৩শতাংশ বাড়িয়ে সরাসরি ভোটে নির্বাচনের উদ্দোগ গ্রহন করার কথা রয়েছে।এ ছাড়া নারীর প্রতি বিদ্যমান সব বৈষম্যমুলক আঈন বিলোপ করার বিধান রয়েছে।তবে সবচেয়ে বিতর্কিত যে বিধানটা রয়েছে এ আঈনে,সেটা হচ্ছে উত্তারিধাকার সম্পত্তিতে নারী পূরুষের সমান অধিকার।মুসলিম সমাজ যাকে ফারায়েযী আঈন বলে জানে।আসুন দেখি কোরআন এ ব্যপারে কি বলে।পবিত্র কোরআনের সুরা নিসায় এ ব্যপারে বিস্তারিত আলোচণ্না করা হয়েছে।উক্ত সূরার ১২ নম্বর আয়াতে পরিস্কার বলা হয়েছে-তোমাদের সন্তানদের ব্যপারে আল্লাহ নির্দেশ দিচ্ছেনঃপুরুষদের অংশ হবে দুজন মেয়ের সমান।আল্লাহর এ সূস্পস্ট নির্দেশ অমান্য করে সম্পত্তিতে নারী-পূরূষের সমান ভাগ দিয়ে নারীদের সম্মান বৃদ্ধি করা যাবেনা কখনোই।বরং এর মাধ্যমে সমাজ়ে তৈরী হবে অরাজ়কতা আর বিশৃঙ্খলা।সম্পর্ক নস্ট হবে ভাই বোনের।সম্পত্তিতে নারী-পুরুষের সমান অধিকার যদি হতো নারীদের সম্মানের কারণ তবে সেটা আল্লাহ রাব্বুল আলামীনই করতেন।সৃস্টিকর্তার চেয়ে করুনাময় আর কেউ নাই তার বান্দার প্রতি।সুতরাং সরকারের ঊচিৎ হবে এ আত্নঘাতী সিদ্বান্ত থেকে ফিরে আসা।আল্লাহর রাব্বুল আলামীনের সরাসরি বিরোধীতা থেকে বিরত থাকা।
No comments:
Post a Comment