
রাস্ট্র জনগনের যে সব প্রয়োজন পুরণ করে থাকে তার মধ্যে সুপেয় পানি অন্যতম।এটা রাস্ট্রের দায়িত্ব।জনগণের অধিকার।কিন্ত্য বাংলাদেশ নদি মাতৃক দেশ হওয়া সত্বেও পানির যথাযথ সরবরাহ হচ্ছেনা।বিশেষ করে শহরের জনগনকে পানির জন্য অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।গরমের সময় পানি না থাকা কিংবা পানিতে দুর্গন্ধ ১টা সাধারণ ঘটনা।খবরে প্রকাশ,বর্তমান সরকার পানিনী্তি প্রনয়ন করতে যাচ্ছে।এ উদ্দেশ্যে ১টা খসড়া প্রনয়ন করা হয়েছে।খসড়ায় বলা হয়েছে,সরকারি খাল-বিল,নদী-নালা এমনকি ব্যক্তিমালিকানাধীন প্পুকুর বা জলাশয় থেকে সাধারণ গৃহস্থালির কাজের অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করলে লাইসেন্স লাগবে।এ সমস্ত জলাশয় থেকে হাতে বহন করা পাত্রে যতটুকু পানি বহন করা যায়,ততটূকূ তুলতে পারা যাবে।এর অতিরিক্ত পানি উত্তোলন করলে অনুমতি লাগবে।নির্ধারিত ফি দিয়ে পাইসেন্স নিতে হবে।লাইসেন্স না নিয়ে অতিরিক্ত পানি ব্যবহার করলে,পাঁচ বছরের জেল অথবা পাঁচ লাখ টাকা জ়রিমান অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করার বিধান রাখা হয়েছে।
উদ্বেগের ব্যপার হচ্ছে,এ খসরা নীতিতে পানি অপচয় রোধের চেয়েও সাধারণ মানুষের জন্য পানির ব্যবহার সঙ্কুচিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।সব নাগরিকের জন্য বিনামূল্যে সুপেয় পানি সরবরাহ করা রাস্ট্রের দায়িত্ব এ খসড়াতে তা উল্লেখ করা হয়নি।অপর দিকে পানিনীতি বাস্তবায়ন হলে এর পরিনাম হবে ভয়ংকর।পানি ধীরে ধীরে বেসরকারি খাতে চলে যাবে।বহুজাতিক কোম্পানি বিভিন্ন জলাধার ইজারা নিয়ে পানিকে বানিজ্যক পন্যে পরিণত করবে। এর পরিনাম পানির দাম বেড়ে যাবে অনেক বেশি।
পানিকে বেসরকারীকরনের আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা সুখকর না।বিশ্বের যেখানেই পানিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে,সেখানেই পানির দাম বেড়ে গেছে কয়েকশ গুন।১৯৯০ সাল থেকে থেকে বিভিন্ন দেশে পানিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পালা শুরু হয়।আর এর পিছনে মদদদাতা হিসেবে কাজ করছে বিশ্বব্যাঞ্জ এবং আইএমএফ।বিভিন্ন দেশে লোন সহায়তা এবং উন্নয়ন সহায়তার নামে তারা রাস্ট্রীয় পানি সেবা ব্যবস্থাপনাকে বেসরকারি খাত ছেড়ে দেয়ার জন্য চাও সৃস্টি করে।পরিনামে পানির দাম বৃদ্ধি পায় ভয়ঙ্করভাবে।বিশ্বব্যঙ্কের পরাম্রর্শে পানিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পরিনামে পানির দাম বৃদ্ধি পাওয়া এবং এ নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষেড় উৎকৃস্ট উদাহরণ বলিভিয়া।বলিভিয়া মরুপ্রধান এলাকা।,পানি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পারে সেখানে পানি হয়ে যায় দুর্মূল্য।সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে।শুধু বলিভিয়ানা,যেখানেই পানি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে সেখানেই পানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ভয়াবহ আকারে।পরিনামে দেখা দিয়েছে গন-অসন্তোষ।যুক্তরাজ্যে পানিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার পর পানির দাম ৪৫০গুণ বেড়ে যায়।ভারতের শিবনাথ নদি ১টি বেসরকারি কোম্পনির হাতে ছেড়ে দেয়ার পর তারা মাত্র ৪লিটার পানি দিত জনপ্রতি।এমনকি নদীতে কাউকে গোসল করার জন্য কিংবা মাচ্ছ ধরার জন্য নামতে দেয়া হতোনা।আমাদের দেশেও অনেকে ওয়াসার কাছ থেকে বর্তমানে মাত্র ৬টাকায় ১হাজার লিটার পানি কিনে এনে জারে ভরে লিটার প্রতি তা ১০টাকা বিক্রি করে।এ পানি খাত যদি বেসরকারি খাতে চলে যায়,তাহলে পানির দাম বৃদ্ধি পাবে আরো অনেক বেশি।
নীতি বিশ্লেষক সৈয়দ মাহবুবুল হক বলেন,আমাদের দেশেও পানি ব্যবস্থাপনাকে বেসরকারি খাতে নেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহল কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন দাতা সংস্থা পানিকে বেসরকারি খাতে নেয়ার এবং পানিকে বানিজ্যিকরুপে ব্যবহারের চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছে।খসড়া পানিনীতিতেও বহুজাতিক কোম্পানিগুলুর সার্থ সংরক্ষনের চেস্টা করা হয়েছে।
পানি নিয়ে চলছে এক গভীর ষড়যন্ত্র।পানিকে বেসরকারি করনের পরিকল্পনা চলছে।এর প্রথম ধাপ হিসেবে পানি আঈন প্রনয়ন করা হয়েছে।পানিকে বেসরকারীকরণের আনতর্যাতিক অভিজ্ঞতা ভয়াবহ।যেখানেই পানির দায়িত্ব বেসরকারি কোম্পানির হাতে ছেড়ে দেয়া হয়েছে,সেখানেই পানির দাম কয়েকশ গূণ বেড়ে গেছে।পানির দাম বৃদ্ধি নিয়ে বলিভিয়ায় রক্তক্ষয়ী সংঘাত ঘটেছে।আরো বিভিন্ন দেশে হয়েছে সংঘাত,সংঘর্ষ।আর এর মুল কারণ হচ্ছে বেসরকারি খাতে পানিকে ছেড়ে দেয়া।
আর বাংলাদেশেও চলছে পানিকে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেয়ার চক্রান্ত।এ চক্রান্তে সম্পর্কে আমাদের সচেতন হতে হবে।এবং সময় থাকতে এর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।বহুজাতিক কোম্পানির সার্থ সংরক্ষন না,সাধারন জনগনের পর্যাপ্ত পানির নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে রাস্ট্রকে।এটা রাস্ট্রের দায়িত্ব।জনগনের অধিকার।
No comments:
Post a Comment