দয়া করে এ লিঙ্কটা দেখে এসে মন্তব্য করবেন...পার্সোনালি আমার খারাপ লাগে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ করে পোস্ট দেয়া।আরো খারাপ লাগে যারা ইসলামের দায়ী হিসেবে নিজেদের প্রচার করে তাদের ভাষা আর মেজাজের ভারসাম্যহীনতা।এস বি ব্লগে বেশ কিছু ইসলামিক ভাবাপন্ন লোক শুধু তাদের ভাষা আর মেজাজের কারনে কাঙ্খিত গ্রহনযোগ্যতা পাননি।যদিও তারা এখন নিজেদেরকে শোধরানোর চেস্টা করছেন এবং সে চেস্টা দেখে ভাল লাগে,কিন্তু তাদের অতীতের মেজাজের কারণে ইমেজ ফিরে পেতে আরো সময় লাগবে।
সামু ব্লগে আমার একটা নিক আছে,কিন্তু সেখানে যাইনা।তাদের গালাগালি দেখে।আইডি খূলে রেখে দিয়েছি,পোস্টও করিনা।কারণ সেই গালাগালি হজম করার ক্ষমতা আমার নাই।
কিন্তু দুঃখজনক হলো এসবি ব্লগেও কিছু আইডি আছে যারা গালাগালি আর তুই শব্দটা ছাড়া কথা বলতে পারেনা।একটা মানুষের পারিবারিক শিক্ষা কোন পর্যায়ের হলে আর একজন অপরিচিত কাউকে তুই বলতে পারে????
এই তুই আর অশ্লীল ব্যবহার যখন আদর্শহীন কোন দলের কারো কাছ থেকে দেখি তখন তেমন একটা খারাপ লাগেনা।কিন্তু যখন দেখি নিজেদেরকে যারা সাচ্চা মুসলিম ভাবে তাদের কাছ থেকে তখন প্রতিক্রিয়াটা ভিন্ন হয়।
সম্প্রতি
মোহরেমা... নামে একজন ব্লগারের খুব পদচারণা এ ব্লগে।নিজেকে এবং নিজেদের আদর্শের অনুসারী ছাড়া অন্য কাউকে মুসলিমই ভাবেনা সম্ভবত।ওনার কমেন্টস যারা পড়েছেন তারা হয়তো যেনে থাকবেন ওনার ভাষা। এবং ওনার মনোভাব।দয়া করে একদম প্রথম লিঙ্কটাতে যান,গিয়ে দেখে আসেন ওনার মন্তব্য এবং আমার মন্তব্য।
এবং আমার মন্তব্যের উত্তর না দিয়ে ওনি আমাকে চারটা মেসেজ করেছেন,তার একটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি-
সত্যি সত্যিই লানত কার উপর পড়ে তা তুই দেখে যাবি, দেখেই তুই মরবি এই দুয়াও আল্লাহ তায়ালার নিকট করি, কারন তোরা ইসলাম নিয়ে বড়ই নষ্টামী ফাজলামী শুরু করছোস, তোদের বিরুদ্ধে বদ দুয়া ছাড়া আর কি-বা করতে পারি। আমার এগুলো দেখে মরার আগে পারলে তওবা করে নিস- www.youtube.com/user/MEHROMA কারন, মৃত্যুর গড়গড়া উঠার আগ পর্যন্ত তওবার সুযোগ আছে। http://kobithakur.blogspot.com/মডারেটরদের কাছে জিজ্ঞাসা-এ ধরণের তুই-তোকারি কথা বার্তা আমরা কতোদিন সহ্য করব???মডারেটরদের প্রতি আবেদন-যাদের মন্তব্যে তুই শব্দগুলো থাকে তাদেরকে সতর্ক করে দেয়া হোক,আর মন্তব্য মুছে দেয়া হোক।
আর রুচিশীল ব্লগারদের কাছে জানতে চাচ্ছি,এ সমস্ত অবস্থায় কি করা উচিৎ আমাদের???আমার মন্তব্যের জওয়াব উনি পোস্টে না দিয়ে এ ধরনের মেসেজ করেছেন,কি করা উচিৎ আমার??
আর ইসলামের বদমেজাজী দায়ীদেরকে বলছি-দায়ীর কাছ খুব কঠিন জিনিস।দায়ীর কাজ করতে হলে মেজাজের ভারসাম্যতা জরুরী,জ়রুরী বিনম্র ভাষা।
আর উক্ত সম্মানিত ব্লগারকে বলছি-লানতের জন্য আল্লাহর কাছে দোয়া করেন সমস্যা নাই,কারন আমি জানি-আমার রব সবচেয়ে বড় ন্যায়বিচারক।এবং আমার রব ফায়সালা করবেন হাশরের ময়দানে-আমি অভিশপ্ত নাকি রহমতপ্রাপ্ত।
বিদ্রঃপোস্টটি মুছে ফেলা হবে।পোস্টটা দিয়ে কাউকে আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য না।সবার সাথে ঘটনা শুধু শেয়ার করলাম।উক্ত ব্লগার এই পোস্টের মাধ্যমে কস্ট পেয়ে থাকলে আমি ক্ষমা প্রার্থী।
(পোস্টটা মুছে ফেলার পরিকল্পনা ছিল)...কিন্তু উক্ত ব্লগার আমাকে এর পরেও মেসেজ দেয়ায় আমি আর মুছছিনা।কারণ এটা একটা প্রতিবাদ)
সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে হত্যা করে।খবরে প্রকাশ,প্রধান সড়ক থেকে বিদ্যালয়ে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটা ট্রাক্টর চালকদের ট্রাক্টর চালানোর ফলে নস্ট হয়ে যাওয়ায় এবং চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় প্রধান শিক্ষক এতে বাধাঁ দেন।এবং এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ট্রাক্টর চালক আকরাম মিয়া এবং তার সঙ্গী-সাথীর তাকে পেটাতে থাকে।এবং তাদের এলোপাতাড়ি আঘাতের কারণে হাসপাতালে নেয়ার পর তার মৃত্যু ঘটে।
সমাজের এই বর্বরতা দেখে বারবার শুধু একটা কথাই মনে হয়-কোথায় যাচ্ছে এ সমাজ??কোথায় যাচ্ছি আমরা?এ বর্বরতার শেষ কোথায়?
...আজ মুসলিম নামধারী জনসংখ্যাটির শোচনীয় পরাজয়ের কারণ একটি এবং তা হচ্ছে এই বিভ্রান্ত, শতধাবিচ্ছিন্ন ও বিশৃঙ্খল জনসংখ্যাটি আল্লাহর তাওহিদ থেকে বহিষ্কৃত হয়ে বর্তমান যান্ত্রিক সভ্যতা, দাজ্জালের সৃষ্ট বিকৃত ইসলাম এবং মানবরচিত সার্বভৌমত্ব গ্রহণ করে তাগুতি শক্তি হয়ে গেছে। অথচ এই মুসলিম জাতি সামরিক শক্তিতে, জ্ঞানে-বিজ্ঞানে, সভ্যতায়, নতুন নতুন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার, প্রযুক্তিতে, আর্থিক শক্তিতে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসেবে পৃথিবীর অর্ধেকেরও বেশি জায়গায় আল্লাহর তাওহিদভিত্তিক সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করেছিল। এই অকুতোভয়, দুর্ধর্ষ এবং মৃত্যুভয়হীন উম্মাহর সামনে পৃথিবীর আর কেউই দাঁড়ানোর সুযোগ পায়নি। আজ সেই জাতি কীভাবে একটি নিকৃষ্ট জাতিতে পরিণত হলো তা ভাবতে গেলে বিবেকসম্পন্ন মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়।
আল্লাহ তাঁর শেষ নবীর মাধ্যমে যে ইসলাম পৃথিবীর মানুষের জন্য পাঠিয়েছিলেন তা নানা কারণে ক্রমে বিকৃত হয়ে বর্তমানে যে অবস্থায় এসে পৌঁছেছে তাতে এই ইসলাম আর সেই ইসলাম নেই। বর্তমানে যে ইসলাম আমরা পৃথিবীতে দেখতে পাচ্ছি, তা খ্রিস্টানদের প্রতিষ্ঠিত মাদ্রাসায় শিক্ষিত তথাকথিত ধর্মব্যবসায়ী মোল্লা শ্রেণীদের পরিচালিত বিকৃত, আত্মাহীন এবং বিপরীতমুখী ইসলাম। এই বিকৃত ইসলামের ধ্বজাধারী তথাকথিত আলেম শ্রেণী যারা জায়েজ করে নিয়েছে আল্লাহর নিষিদ্ধকৃত হারাম কাজকে এবং তা হলো আল্লাহর আয়াতকে বিক্রি করে অর্থ উপার্জন করা অর্থাত্ ধর্মকে পুঁজি করে অর্থ ও জীবিকা উপার্জন করা। সেই বিকৃত ইসলামকে আজ সঠিক ইসলাম মনে করে এই মুসলিম নামধারী জনসংখ্যাটি সেটা প্রাণপণে পালন করে এবং প্রাণপণে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছে। আজ যদি এই বিভ্রান্ত জনসংখ্যাটি তওবা করে দাজ্জালের সৃষ্ট বিকৃত ইসলাম এবং মানবরচিত তন্ত্র-মন্ত্র ত্যাগ করে বিশ্বনবী (সা.)-এর প্রকৃত ইসলামে ফিরে যায় যে প্রকৃত ইসলাম পৃথিবীময় আল্লাহর তাওহিদভিত্তিক সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করে মহাশান্তি নিশ্চিত করবে, তাহলে তারাসহ বিশ্ববাসী হাজার বছরের গোলক ধাঁধা থেকে মুক্ত হবে এবং আবারও সেই বিশ্বজয়ী উম্মতে মোহাম্মাদীতে পরিণত হবে। তাই আল্লাহ আমাদের সবাইকে তার পথপ্রদর্শিত সিরাতুল মুস্তাকিমে চলার তওফিক দিন।
দাওয়াত রইল
অনেক ধন্যবাদ