সামাজিক বৈষম্যের খন্ড চিত্র........মুক্তির পথ আল-কোরআন। লিখেছেন সত্য কথা ১৬ জুন ২০১১, রাত ১২:৫১ << আগের পোস্ট পরের পোস্ট >> ঢাকা মেডিকেলে কর্তব্যরত,রাত তখন তিনটা।পরপর দু'জন রোগী আসল।একজন মুন্সিগন্জ থেকে,অন্যজন ঢাকার গুলশান এলাকার।দুইজন একি সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে আসল।তারা অনেকগুলো ঘুমের ঔষধ খেয়েছে।অবস্থা খুব একটা ভাল নয়।বাবা মা,অন্যান্য কাছের লোকজন আমাদের কাছে জানতে চাচ্ছে,তাদের রোগী বাঁচবে তো।আমরা সান্ত্বনা দিচ্ছিলাম।কী কারণে ঘুমের ঔষধ খেয়েছে জানতে গিয়ে জানলাম দুইজনে বাবা মার কাছে আবদার করে ব্যর্থ হয়েছে।মুন্সিগন্জের ছেলেটি দরিদ্র বাবার সন্তান।পরিবারে নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্হা।সামনে ঈদ,বায়না ধরেছে তাকে এবার একসাথে নতুন শার্ট লুঙ্গি আর একজোড়া স্যাণ্ডেল কিনে দিতে।কিন্তু বাবা বলেছিল এক আইটেমের বেশী কাউকে নতুন কিছু কিনে দিতে পারবে না।ছেলে বাবার ও কথা মেনে নিতে পারেনি বলে রাগ করে ঘুমের ঔষধ খেয়েছে। অন্যদিকে গুলশান থেকে আসা ছেলেটি ধনাঢ্য বাবার আদরের দুলাল।বাবার কাছে এবার ঈদে বায়না ধরেছে বান্ধবীকে নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার সী বীচে ঘুরতে যাবার।বাবা রাজী ছিল।কিন্তু সমস্যা হলো এ বছর ব্যবসা মন্দা বলে বাবা আগামী বছর যাবার জন্য বলল।ছেলে মেনে নিতে পারেনি বলে রাগ করে ঘুমের ঔষধ খেয়েছে। স্বাভাবিক হিসেবে এ ছেলেকে চিকিত্‍সার জন্য উন্নত প্রাইভেট হাসপাতালে নেবার কথা ছিল।কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালগুলো পুলিশ কেসের রোগী সাধারণত ভর্তি করেনা।তাই এদের ঠিকানা ঢাকা মেডেকেল। কি বিপরীতমুখী ২টি চিত্র!কিন্তু এ দুটি চিত্র আমাদের সমাজের ভয়াবহ অবস্থার জানান দিচ্ছে।একদিকে মূল্যবোধের অবক্ষয়,অন্যদিকে সামাজিক এক বিশাল বৈষম্যের চিত্র।একটি ছেলে শুধু একটি নতুন জামার জন্য রাগ করে,আরেকটি ছেলে বান্ধবীকে নিয়ে বিদেশ ভ্রমনের আবদার ধরে।ধনী গরীবের এ ব্যবধান আর কতকাল চলবে. একদিকে অন্ন বস্ত্রের জন্যে বনী আদমের আহাজারী,অন্যদিকে কিছু মানুষের বিলাসিতার প্রদর্শনীঁ।আমাদের কি কিছুই করার নেই...........??????(কপি পেস্ট) ডাঃ এক ফ্রেন্ডের অভিজ্ঞতা।মনটা খারাপ হয়ে গেল সামাজিক অবক্ষয়ের চিত্র দেখে।তাই শেয়ার করলাম আপনাদের কাছে। এ বৈষম্য থেকে মুক্তির উপায় কি?????? মুক্তির একমাত্র উপায় আল-কোরআন।আল-কোরআন শাসিত সমাজ যেদিন প্রতিষ্ঠা হবে সেদিন এ পাহারসম বৈষ্যম থেকে মানুষ মূক্তি পাবে।মুল্যবোধের অবক্ষয় থেকে পরিত্রান পাবে সমাজ।আল-কোরআন শাসিত সেই সমাজের প্রত্যাশায়................ শেয়ার করুনঃ ১৬১ বার পঠিত, ২৮ টি মন্তব্য রেটিং +৬/-২ রেটিং দিতে লগইন করুন পাঠকের মন্তব্য: ১ 302992 ১৬ জুন ২০১১; রাত ১২:৫৮ তায়িফ লিখেছেন : ইসলামিক ব্লগারের প্রোফইলে কমিউনিস্টটার ছবি কেন???????????? ১৬ জুন ২০১১; রাত ০১:০৬ 263387 সত্য কথা লিখেছেন : দৃস্টিকে আর একটু প্রসারিত করুন,মনটাকে আর একটু উদার করুন।ছবিটা যে একটা প্রতিবাদ সেটা বুঝার মত জ্ঞান আপনার থাকার কথা।তার কমিউনিস্ট পরিচয়টা দেখলেন,দেশপ্রেমিক আর নির্যাতিত পরিচয়টা নজর এড়িয়ে গেল???ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ১৬ জুন ২০১১; রাত ০১:১৭ 263400 মাতউরা লিখেছেন : তায়িফ লিখেছেন : ইসলামিক ব্লগারের প্রোফইলে কমিউনিস্টটার ছবি কেন???????????? সহমত। নাস্তিক কমিউনিস্টদের না বলুন। ১৬ জুন ২০১১; রাত ০১:২৭ 263417 সত্য কথা লিখেছেন : মাতউরা,চামচামি বাদ দিয়ে ব্লগ পড়ে তারপর কমেন্টস করবেন।আলতু ফালতু কমেন্টস আমার ব্লগে করবেননা।তারপরেও কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ। ২ 302999 ১৬ জুন ২০১১; রাত ০১:০৮ আবু জারীর লিখেছেন : আপা আপনার নিজের ছবির প্রপিকটাই সুন্দর ছিল। যাতে আপনার ব্যাক্তিত্ব বক্তব্যের গভিরতা প্রকাশ পেত। আমার কাছে লেখকের নাম এবং প্রপিক সাথে লেখার আবেদন ফুটে উঠে। ধারনা ভুলও হতে পারে। ধন্যবাদ। ১৬ জুন ২০১১; রাত ০১:১৬ 263399 সত্য কথা লিখেছেন : আপনার কথা সত্যি।কিন্তু নিজের প্রোপিকের কারনেও আমি এট্যাক হয়েছি    ।এজন্য আমি অনেক প্রোপিক পাল্টাই।ধন্যবাদ আপনাকে। ১৬ জুন ২০১১; রাত ০১:১৯ 263402 আবু জারীর লিখেছেন : বেশী পাল্টা পাল্টি করলে আমরাতো বটেই আপনলোকের পক্ষেও যে খুজে পাওয়া মুসকিল হবে।   ১৬ জুন ২০১১; রাত ০১:২৪ 263407 সত্য কথা লিখেছেন : খুজেঁ পাওয়া একটু কঠিনই করতে চাচ্ছি।বেশী সহজ়ে খূজ়েঁ পেলে প্রবলেম হয়   ৩ 303069 ১৬ জুন ২০১১; রাত ০২:২৫ প্রান্তিক চাষা লিখেছেন : আপনি আল কোরআনের কথা বলছেন!! অথচ এসব ঘটনা নামাজ, আজান, আল কোরআনের দেশেই হছ্ছে। সুইডেন, কানাডা য় হয় না। ১৬ জুন ২০১১; রাত ০২:৪০ 263475 সত্য কথা লিখেছেন : আহারে চাষা ভাই,মায়া হচ্ছে আপনার জ্ঞানের দৌড় দেখে।    ।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ১৬ জুন ২০১১; সকাল ০৬:২০ 263524 jibon লিখেছেন : @প্রান্তিক চাষা,আপনি কি সুইডেন, কানাডা থাকেন? ২০ জুন ২০১১; বিকেল ০৫:১৫ 269153 একবিংশের বঙ্গবন্ধু লিখেছেন : চাষার পো চাষা সুইডেন , কানাডায় গিয়েছেন কখনো ? ৪ 303201 ১৬ জুন ২০১১; সকাল ০৯:৩৮ মনসুর লিখেছেন : + মাশাআল্লাহ, সুন্দর লিখেছেন। আলহামদুলিল্লাহ, যাযাকাল্লহু খাইরান, ধন্যবাদ।    সমাজে সুশিক্ষার অভাব, কুশিক্ষার প্রভাব, অনৈতিক লোভ আর দূর্নীতির অবাধ বিস্তার কিভাবে পরিবারগুলিকে ধবংশ করতে পারে এই ঘটনাগুলি তারই উদাহরণ। আমাদের আরও বোঝা উচিৎ যে, হারাম টাকায়, হারাম কাজে, হারাম নিয়তে জীবনে শান্তি আসে না। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েতসহ নেক কামিয়াবী দান করুন - আমীন। ১৬ জুন ২০১১; রাত ১১:৩৮ 264470 সত্য কথা লিখেছেন : অভিজ্ঞতা এবং লিখা আমার এক ফ্রেন্ডের,আমি শধু একটূ এডিট করেছি। হারাম টাকায়, হারাম কাজে, হারাম নিয়তে জীবনে শান্তি আসে না চরম সত্যি কথা। আল্লাহ আমাদের সমস্ত ধরনের হারাম থেকে বিরত রাখুক।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ৫ 303247 ১৬ জুন ২০১১; সকাল ১০:৪৪ সিটিজি৪বিডি লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ বাংলার জমিনে আল-কোরআনের শাষন কায়েম হবেই। ১৬ জুন ২০১১; রাত ১১:৪০ 264477 সত্য কথা লিখেছেন : সেই শুভক্ষনের প্রত্যাশায়।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য। ৬ 303248 ১৬ জুন ২০১১; সকাল ১০:৪৫ পরবাসী লিখেছেন : ধন্যবাদ সত্য কথা, আপনার সুন্দর শিরোনামটির জন্য। আসলে একমাত্র কোরানে প্রদর্শিত অর্থব্যবস্থাই পারে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের। অর্থনৈতিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক মন্দার (recession) পিছনে সবচে’ বড় কারণ হচ্ছে সূদ ব্যবস্থা (interest)। সূদের কারণেই ধনীরা আরো ধনী এবং গরীবরা আরো গরীব হতে থাকে, যা সৃষ্টি করে অর্থনৈতিক বৈষম্য। অন্যদিকে এই সূদের কারণেই সৃষ্টি হয় বানিজ্য চক্র (trade cycle) অর্থাৎ চড়া বানিজ্যের পর নিন্ম বানিজ্য, যার পরিণতিতে কয়েক বছর পর পরই দেখা দেয় অর্থনৈতিক মন্দা । পবিত্র কোরান সূদকে নিষিদ্ধ করেছে। কিন্তু আমরা তা চালিয়ে যাচ্ছি। কোরান আরো নিষিদ্ধ করেছে ঘুষ, জুয়া, মজুতদারী-সহ সব রকমের অনৈতিক লেন-দেন বা প্রথা। তা-ও আমরা আমলে নিচ্ছিনা। ফলাফল যা হবার, তা-ই হচ্ছে। আসুন কোরানকে নিরপেক্ষ মন নিয়ে পড়ে বোঝার চেষ্টা করি, এতে দেখানো সমাধানগুলো কাজে লাগিয়ে নিজে বাঁচি, সমাজকে বাঁচাই। ১৭ জুন ২০১১; রাত ১২:০৭ 264564 সত্য কথা লিখেছেন : আসলে একমাত্র কোরানে প্রদর্শিত অর্থব্যবস্থাই পারে সারা বিশ্বের অর্থনৈতিক সমস্যা সমাধানের সহমত। শুধু অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান না।সমস্ত সমস্যার সমাধান দিতে পারে আল-কোরআন ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য। ১৯ জুন ২০১১; সকাল ১০:৫৬ 267537 পরবাসী লিখেছেন : সহমত ৭ 307911 ২০ জুন ২০১১; বিকেল ০৫:৩১ ইসলামের পতাকাবাহী লিখেছেন : সহমত আপনার সাথে  উমর (রা) চৌদ্দ তালির জামা পরে, গাছতলায় ঘুমিয়ে থেকেও অর্ধেক পৃথিবী শাসন করেছেন আর আমাদের আজকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা নামী দামি পোষাক পরে, বিলাসবহুল বাসায় থেকে, বিলাসবহুল-ব্যায়বহুল গাড়িতে চলাফেরা করেও শুধুমাত্র নিজের অঞ্চলটিও ঠিকমত চালাতে পারছেন না। সীমাহীন দূর্নীতি, মানুষ তার নায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। আর এ জন্যে আমরাই দায়ী, আমরা যে রকম সেরকম নেতৃত্বই আমাদের উপর আপতিত হয়েছে। এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হলে সর্বপ্রথম আমাদেরকেই সংশোধিত হতে হবে যে পন্থায় এই উম্মাহ’র পূর্ববর্তী মানুষগুলো সংশোধিত হয়েছিল। আল্লাহ তাআলা আমাদের হক কথা বুঝার সুমতি দান করুন। আমরা যেন নিজেদের সংশোধিত করতে পারি যে পন্থায় আমাদের পূর্ববর্তী উম্মাহ’র মানুষেরা সংশোধিত হয়েছিল। আমীন। ২০ জুন ২০১১; বিকেল ০৫:৪৫ 269173 সত্য কথা লিখেছেন : আমীন।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।