ছোটকাল থেকে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে একটা ভিন্ন ধরণের আবেগ ছিল।ক্লাসের পাঠ্যবইগুলোতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে লিখা পড়তে গেলে খুব কম দিনই গেছে পানি ফেলে বইয়ের পাতা ভিজায়নি।জানিনা কেন মুক্তিযুদ্বের ইতিহাস পড়তে গেলেই চোখ বেয়ে টপটপ করে পানি পড়ত।
আস্তে আস্তে বড় হতে লাগলাম।ক্লাসের পাঠ্যবইএর পাশাপাশি অন্য বই ও পড়তে লাগলাম।মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আবেগ থাকার কারণে বই এর লিস্টে মূক্তিযুদ্ধ নিয়ে লিখাগুলো প্রায়োরোটি পেল।বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে পত্রিকায় লিখা কলমগুলো আমার খুব দৃস্টি আকর্ষণ করত।পড়তাম গভীর মনোযোগ দিয়ে।এবং হোচঁট খেলাম।খুব কস্টের সাথে খেয়াল করলাম মাত্র মাত্র ২৫বছর আগের ইতিহাস নিয়ে এমন বিভ্রান্তি(আমি যখন পড়া শুরু করি,তখন ২৫ বছর আগের ইতিহাস ছিল।) মাত্র পচিঁশ বছর আগের ঘটনা নিয়ে এমন বিপরিতমুখী ইতিহাস???
যখন দেখলাম মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে নিয়ে দলীয় ইতিহাস হিসেবে চালিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতা,যখন দেখলাম ভিন্নমত হওয়ার কারণে একদল আর এক দলের নেতাদের অবদানকে অস্বীকার করে তখন খুব কস্ট পেলাম।সেই থেকে শুরু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আবেগ কমতে থাকা।
একদল অস্বীকার করে মেজর জিয়া মুক্তি্যূদ্ধের ঘোষণা দেননি,আর একদল বলে শেখ মুজিব গ্রেফতার হননি আত্নসমর্পন করেছেন,দ্বিধায় পড়ে গেলাম।
এরপর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস নিয়ে চলছে আমার নিজের বিচার বিশ্লেষন।কোন পক্ষের ইতিহাসকেই আমি এখন সঠিক ইতিহাস বলে বিশ্বাস করিনা নিজের বিচার বিশ্লেষণ ছাড়া।যখন দেখি আম্মা ফুপিরা রেডিওতে জিয়ার ঘোষণাটা শুনছেন এবং সেই ব্যপারটা নিয়ে আলোচনা করেন তখন আদালতের রায় যাই হোক আমি বুঝে নেই মেজর জিয়াই মুক্তিযুদ্ধের ঘোষক।
আবার যখন দেখি ৭ই মার্চের ভাষণকে মূক্তিযুদ্ধের ঘোষণা হিসেবে দাবী করা হয় কিন্তু সে ভাষণে লক্ষ লক্ষ মানুষের সাথে আমার বাবা উপস্থিত থেকেছেন এবং সে ভাষণের শেষ কথা জিয়ে পাকিস্তান শব্দটা বঙ্গবন্ধু উল্লেখ করেছেন তখন নিজ থেকেই বুঝে নেই-এ ভাষণটা স্বাধীনতার ঘোষণা না।
যখন দেখি মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষের অবদানকে নিয়ে কেউ কোন কথা বলেনা তখন আবেগগুলো শুন্যের কোঠায় নেমে আসে।যখন দেখি আমার এতো আবেগের ‘মুক্তি্যূদ্ধ’কে প্রবীনরা ‘গন্ডগোলের বছর’ বলে তখন আমি বাস্তবতা বুঝার চেস্টা করি।
যখন শুনি ৩০লাখ নিহত হওয়ার কথা বঙ্গবন্ধু ভুল করে বলে ফেলেছেন তখন হিসাব নিকাশ করি নুতন করে।
মুক্তিযূদ্ধ নিয়ে শর্মিলা বোসের লিখা বইএর কিছু অংশ
Click this link...(চলবে)
No comments:
Post a Comment