গত ২৪মে রোববার রাত পৌনে দশটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন নাহার হল,রোকেয়া হল এবং কুয়েত মৈত্রী হলের ৮ছাত্রীকে তাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন এবং ছাত্রলীগ।বহিস্কৃত ছাত্রীরা হলো-শামসুন নাহার হলের হাবিবাতুস সাদিয়া, মমতাজ খানম বৈশাখী, রোকেয়া হলের সুরাইয়া ইসলাম, শামীমা ইসলাম শোভা, জুলফাতুন্নেসা, কুয়েত মৈত্রী হলের সোনিয়া ইসলাম, তাহিরা বেগম ও মিতু ইসলাম। এ সমস্ত ছাত্রীদের বিরুদ্ধে জঙ্গী তৎপরতার অভিযোগ এনেছে সরকারদলীয় ছাত্র সংঠন ছাত্রলীগ। রাতে আটকের পরে ছাত্রলীগ নেত্রী নুসরাত সাংবাদিকদের জানান, আটককৃতরা ছাত্রী সংস্থার সদস্য।এবং তারা বিভিন্ন অপতৎপরতার সাথে যুক্ত।কিন্তু রোববার রাতভর এবং পরদিনেও এদের কয়েকজনকে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ, রুমে রুমে তল্লাশি করে প্রশাসন অভিযোগের সত্যতা পায়নি।
রাত ১২টার দিকে আটককৃতদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানান, কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে তারা কোনো জঙ্গি বা অপতত্পরতায় জড়িত কি-না। রোববার গভীর রাত এবং তারপর দিনেও আটককৃতদের কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ ও রুমে তল্লাশি করা হয়।পরদিন দুপুরে প্রক্টর অফিসে সাংবাদিকের কাছে প্রশাসনের বক্তব্য তুলে ধরেন প্রক্টর সাইফুল ইসলাম খান। তিনি জানান, অভিযুক্তরা ছাত্রী সংস্থার কর্মী বলে স্বীকার করেছে। তবে আমরা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ, তল্লাশি ও তাদের ডাইরি ঘেঁটে দেখেছি তাতে জঙ্গি বা অপতত্পরতার কোনো প্রমাণ মেলেনি।
বিতাড়িতদের মধ্যে কয়েকজন ছাত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তারা ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের জুলুমের বলি হয়েছেন। কোনো অপতৎপরতার সঙ্গে তারা জড়িত নন। প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে চরম অন্যায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ছাত্রলীগের মেয়েরা ক্যাম্পাস ও হলে নানা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করলেও তাদের ক্ষেত্রে প্রশাসন নীরব।
অভিযোগ প্রমানিত ছাড়া,শূধু মাত্র সরকারদলীয় ছাত্রসংগঠনের দাবীর মুখে নিরাপরাধ কিছু ছাত্রীকে হল থেকে বহিঃষ্কার করা কি প্রশাসনের পক্ষপাতমুলক আচরন নয়?এটা কী মানবাধিকার লঙ্গন না?
শিক্ষা এবং আস্রয় মানুষের মৌলিক অধিকার।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজের সবচেয়ে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরাই পড়াশোনার জন্য আসে।যাদের অধিকাংশই নিন্মবিত্ত এবং নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান।যাদের ঢাকা শহরের কোথাও থাকার উপায় থাকেনা,তারাই হলগুলোতে থাকে।কিন্তু ঢাকা বিশ্ববীদ্যালয় হল থেকে বহিঃষ্কৃত ৮ছাত্রীদর শিক্ষাজীবন এখন অনিশ্চয়তার মূখে।ঢাকা শহরে তাদের কোন থাকার জায়গা নাই।
যেখানে রাস্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের মৌলিক অধিকার পুরণ করা,সেখানে রাস্ট্র যদি তাদের এ অধিকার কেড়ে নেয়,তবে তার পরিণাম হয় ভয়াবহ।প্রশাসন হলো অভিভাবকের মত।প্রশাসন যখন পক্ষপাতমূলক আচরন করে তখন শিক্ষার্থীরা বড় অসহায় হয়ে পড়ে। সুতরাং প্রসাশনের দায়িত্ব নিরপরাধ এই ৮ছাত্রীকে তাদের সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাদের শিক্ষা এবং আস্রয়ের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করবে এটাই সবার দাবী।
শেয়ার করুনঃ
৩২১ বার পঠিত, ৩৭ টি মন্তব্য
রেটিং +১৬/-৩
রেটিং দিতে লগইন করুন
পাঠকের মন্তব্য:
১
278411
২৬ মে ২০১১; রাত ১১:৩২
হাসান লিখেছেন : মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। খোদ ইসরাইলেও মুসলমানরা এর চেয়ে অনেক স্বাধীনভাবে ও নির্বিঘ্নে ধর্ম পালন করতে পারেন।
২৭ মে ২০১১; রাত ১২:০৪
237563
সত্য কথা লিখেছেন : যেখানে রাস্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের মৌলিক অধিকার পুরণ করা,সেখানে রাস্ট্র যদি তাদের এ অধিকার কেড়ে নেয়,তবে তার পরিণাম হয় ভয়াবহ।প্রশাসন হলো অভিভাবকের মত।প্রশাসন যখন পক্ষপাতমূলক আচরন করে তখন শিক্ষার্থীরা বড় অসহায় হয়ে পড়ে। সুতরাং প্রসাশনের দায়িত্ব নিরপরাধ এই ৮ছাত্রীকে তাদের সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাদের শিক্ষা এবং আস্রয়ের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করবে এটাই সবার দাবী। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২
278439
২৬ মে ২০১১; রাত ১১:৪৫
বাসন্ত বিষুব লিখেছেন : তাদের তৎপরতার উদ্দেশ্য ভাল ছিল কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। আমি মনে করি, জামাতের সাথে তাদের কানেকশন খতিয়ে দেখা উচিত।
৩০ মে ২০১১; রাত ০২:১৯
241398
সত্য কথা লিখেছেন : বাষন্ত,আপনি নিজেও জানেন হাস্যকর মন্তব্য ।যতোক্ষণ পর্যন্ত অভিযোগ প্রমানিত না হয়,ততোক্ষণ পর্যন্ত অভিযুক্তরা নিরাপরাধ।এই মেয়েগুলোর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও প্রমানিত হয়নি।এই নিরীহ মেয়েগুলো রাস্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার।যেখানে রাস্ট্রের দায়িত্ব জনগনের শিক্ষা এবং আস্রয়ের ব্যবস্থা করা,সেখানে রাস্ট্র তা কেড়ে নিয়েছে অন্যায়ভাবে।
সত্য কথা লিখেছেন : এবং আইনজ়ীবীদের উচিৎ তাদের সাহায্য করা।ধন্যবাদ আইনী পরামর্শ দেয়ার জন্য,এবং মন্তব্যের জন্য।
২৭ মে ২০১১; রাত ০২:০৬
237723
আফ্রিদী লিখেছেন : কাকে আপনি আইনের কথা শুনাচ্ছেন? চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনী!
৫
278467
২৭ মে ২০১১; রাত ১২:০৪
সুমাইয়া জামান লিখেছেন : কি আর বলব? আসলে মন্তব্য করার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিনা। আল্লাহ্ ওদের সহায় হোক।
২৭ মে ২০১১; রাত ১২:০৮
237573
সত্য কথা লিখেছেন : প্রশাসন হলো অভিভাবকের মত।প্রশাসন যখন পক্ষপাতমূলক আচরন করে তখন শিক্ষার্থীরা বড় অসহায় হয়ে পড়ে। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
২৭ মে ২০১১; রাত ০২:০৫
237721
আফ্রিদী লিখেছেন : ফ্যাসিবাদীরা এভাবেই নারীর অধিকার দেয়????
৬
278514
২৭ মে ২০১১; রাত ১২:৪৯
এম. কামরুল আলম লিখেছেন : তার আগে আমাদেরকে জানতে হবে, কে বড়? প্রশাসন নাকি ছাত্রলীগ? উত্তরটি যদি হয় ছা.লী, তাহলে আর বলার কিছুই থাকে না!
২৭ মে ২০১১; রাত ০২:০৪
237720
আফ্রিদী লিখেছেন : ছাত্রলীগতো লীগই কিন্তু আরেফিন সিদ্দিক হল সবচেয়ে বড় ছাত্র লীগ।
৩০ মে ২০১১; রাত ০১:২৬
241366
সত্য কথা লিখেছেন : ছাত্রলীগ বড়।বিতাড়িত এবং প্রতক্ষ্যদর্শীদের সাথে আমি কথা বলেছি,প্রশাসনের উপর ছাত্রলীগের চাপ ছিল অনেক,এবং ছাত্রলীগের চাপের কাছে প্রশাসন পরাজিত।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৭
278534
২৭ মে ২০১১; রাত ০১:০৬
খালেদ লিখেছেন : এগুলো জামাতের সন্ত্রাসী সেল । হেজাব/বোরকার অন্তরালে ধর্মীয় জঙ্গীবাদ প্রচার করাই ছিল এদের কাজ ।
২৭ মে ২০১১; রাত ০২:৫৯
237745
ওমর আল ফারুক লিখেছেন : আপনার ওবায়েদ নিকটা কি ব্যান হলো নাকি ? এখন নতুন নিকে ? ভালো . আর সব পোস্টে একই ধরনের কমেন্ট মজা লাগে না . জঙ্গিবাদ , তালেবান বাদ দিয়ে নতুন কিছু আবিস্কার করেন . না পারলে হেল্প নিয়েন ...
২৭ মে ২০১১; রাত ০৩:২৯
237751
ক্লান্তিহীন পথিক লিখেছেন : @খালেদঃ ভাই আপনার কথার ভিত্তি কি? আমি যতদুর জানি তাদের রুম সারা রাত ধরে তল্লাসি করেও সন্ত্রাসী/ধর্মীয় জঙ্গীবাদ প্রচারের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তা ভাই আপনি কিভাবে শিওর হলেন যে হেজাব/বোরকার অন্তরালে ধর্মীয় জঙ্গীবাদ প্রচার করাই ছিল এদের কাজ, নাকি স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে বল্লেন । দেশটা দেখি পীর-দরবেশে ভরে গেল । সবাই দেখি স্বপ্ন যোগে সব কিছু গেনে ফেলে । খালিদ ভাই, তাড়াতাড়ি র্যবে যোগ দেন, তাহলে স্বপ্নযোগে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আপনি দেশের সব সন্ত্রাসীদেরে ফেলতে পারবেন , সেইসাথে আমরাও একটু শান্তিতে থাকতে পারব
৩০ মে ২০১১; রাত ০১:৩৪
241374
সত্য কথা লিখেছেন : ধর্ম কখনো জঙ্গীবাদ বানায়না।জঙ্গীবাদ বানায় ধর্মনিরপেক্ষমতবাদগুলো।যেমন আমরা দেখছি সারা দেশে সবচেয়ে বেশী জ়ঙ্গী কার্যক্রম চালাচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের অনুসারীরাই ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
৮
278561
২৭ মে ২০১১; রাত ০২:০৩
আফ্রিদী লিখেছেন : এর প্রতিশোধ নিলেই তখন জঙ্গি জঙ্গি বলে রব উঠবে।
কেউ জঙ্গী হয়ে জন্মেনা সমাজ মানুষকে চরম পন্থী হতে বাধ্য করে।
৩০ মে ২০১১; রাত ০১:৪১
241379
সত্য কথা লিখেছেন : এর প্রতিশোধ ঈনশাআল্লাহ হবেই।যে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু মাত্র নামাজ আর হিজাব পড়ার অপরাধে আজকে বিতাড়িত হয়েছে এ মেয়েগুলো,ইনশাআল্লাহ এ বিশ্ববিদ্যালেয়েই একদিন হাজারো হিজাব পড়া মেয়ের পদভারে মুখরিত হবে এবং তা খুব দ্রুতই হবে ইনশাআল্লাহ।
৯
278566
২৭ মে ২০১১; রাত ০২:২৫
কানা-বাবা লিখেছেন : ঘর নাই তো কি হয়েছে, আল্লাহপাক উনাদের বেহেস্ত নসিব করুক।
২৭ মে ২০১১; রাত ০৩:০০
237746
ওমর আল ফারুক লিখেছেন : কি ভাই পোস্ট পরেছেন ? নাকি অন্দকারে ঢিল মারলেন . মরার আগেই যে বেহেস্তে পাঠিয়ে দিচ্ছেন
সত্য কথা লিখেছেন : যেখানে রাস্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের মৌলিক অধিকার পুরণ করা,সেখানে রাস্ট্র যদি তাদের এ অধিকার কেড়ে নেয়,তবে তার পরিণাম হয় ভয়াবহ।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
সংগ্রামী মানুষ লিখেছেন : পৈশাচিক লোভ তাদের মনুষ্যত্বকে হরণ করে নিয়েছে এবং তাদের নৃশংসতা দিনের পৃথিবী ও রাতের আকাশকে বিষাক্ত করে তুলেছে। একদিকে মানুষের আর্তনাদ অন্য দিকে শোষকের অট্টহাসি। একদিকে মৃত্যু ফাঁদ অন্য দিকে পরিহাস, এক দিকে গোলাপের পাপড়ি অন্যদিকে আবর্জনা, একদিকে আকাশে রঙ্গিন খিলান অন্যদিকে বিষাক্ত কামনা। চারদিকে হাহাকার। নারী শিশু কেউ বাদ যায়না মানবতাহীন আচরণ থেকে।
৩০ মে ২০১১; রাত ০২:০২
241393
সত্য কথা লিখেছেন : যেখানে রাস্ট্রের দায়িত্ব নাগরিকের মৌলিক অধিকার পুরণ করা,সেখানে রাস্ট্র যদি তাদের এ অধিকার কেড়ে নেয়,তবে তার পরিণাম হয় ভয়াবহ।প্রশাসন হলো অভিভাবকের মত।প্রশাসন যখন পক্ষপাতমূলক আচরন করে তখন শিক্ষার্থীরা বড় অসহায় হয়ে পড়ে। সুতরাং প্রসাশনের দায়িত্ব নিরপরাধ এই ৮ছাত্রীকে তাদের সিট ফিরিয়ে দিয়ে তাদের শিক্ষা এবং আস্রয়ের অধিকার ফিরিয়ে দেয়া।প্রশাসন নিরপেক্ষ আচরণ করবে এটাই সবার দাবী।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
১৪
283450
৩১ মে ২০১১; সকাল ০৬:১৫
Md. Nur Nobi লিখেছেন : ....বাকশালীদের কাছে.....মানবাধিকারের কথা বলা ....মানে...নিজের সময় নষ্ট করা...
/.....বাকশালীরা মানুষ হ....
৩১ মে ২০১১; দুপুর ০৩:০১
243064
সত্য কথা লিখেছেন : বাকশালীরা হয়তো মানুষনা,কিন্তু আমরাতো মানুষ।মানুষ হিসেবে আমাদের দায়িট্ব সব ধরনের অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।
No comments:
Post a Comment