সময়ঃ২০১১সাল।মাস মে-জুন স্থানঃগনভবন বিষয়ঃতত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
২০১১সালের এক বিকেল।প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে আসীন ডঃশেখ হাসিনা।গনভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে ঘোষণা দিলেন-সংবিধানে তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা রাখার কোন উপায় নাই।এ ব্যবস্থা অবৈধ।
আজকে আওয়ামিলীগ তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের জন্য মরিয়া।আওয়ামিলীগের বড় নেতা,পাতি নেতা,কর্মী,সমর্থক এবং বুদ্ধিজীবিরা তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আন্দোলন বাতিলের জন্য সরব।তাদের বাতচিতের কিছু নমুনা। তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অবৈধ-প্রধানমন্ত্রী।
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধানে যোগ করার কোন সুযোগ নেই আইনমন্ত্রী।
বিরোধী দল আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হরতাল দিয়েছে সাজেদা চৌধুরী।
যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষার জন্য হরতাল ডাকা হয়েছে টুকু।
এবার আসেন কিছুক্ষন সময়ের জন্য একটা টাইম মেশিনে উঠি।চলে যাই ১৯৯৬ সালে।
সময়ঃ১৯৯৬সাল স্থানঃরাজপথ। বিষয়ঃসেইম।তত্তাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা।
এবার রাজপথে আওয়ামিলীগ।চলেন আর একটূ পিছনে ১৯৯৪সাল থেকে যাত্রা শুরু করি আমরা।
১৯৯৪সাল থেকে ১৯৯৬সাল পর্যন্ত তৎকালীন বিরোধী দল আওয়ামিলীগ তত্তাবধায়ক সরকারের আন্দোলনের দাবীতে ৯৬দিন হরতাল অবরোধ এবং অসহোগ কর্মসূচি পালন করে। এর মধ্যে ৭০ দিন হরতাল-অবরোধ এবং ২৬ দিন অসহযোগ। এসব কর্মসূচিতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ছিল।ছিল ম্যরাথন হরতাল।একটি ৯৬ ঘণ্টা, ২টি ৭২ ঘণ্টা এবং ৫টি ৪৮ ঘণ্টার হরতাল ডাকা হয়।
এ সমস্ত হরতাল এবং অবরোধে জনজীবন হয়ে পড়েছিল দুর্বিষহ ।ঝাপসা ঝাপসা এখনো কিছু মনে আছে,কেউ বাইরে গেলে কি আতঙ্কে থাকতাম না জানি কি হয়,কি ঘটে।
কারন এ সমস্ত কর্মসূচিতে ভাংচুর, বোমাবাজি, ককটেল নিক্ষেপ, অগ্নিসংযোগ, গোলাগুলি এবং নির্সংস ঘটনা ছিল স্বভাবিক ব্যপার।এ সমস্ত কর্মসূচীতে নিহত হয় তখন অর্ধশতাধিক মানুষ, আহত হয় সহস্রাধিক।এ সময় অফিসগামী মানুষকে দিগম্বর করার মত ন্যক্কারজনক ঘটনাও ঘটে।
সে সময় শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছিলেন-তত্তাবধায়ক সরকার ছাড়া কোন নির্বাচন জনগন মেনে নিবেনা।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃআওয়ামিলীগের রুপ এমনি।ডিগবাজ়িতে তারা ওস্তাদ।
নোটঃআওয়ামিলীগ থেকে নিজে বাচূঁন।দেশ এবং জাতিকে বাচাঁন(আওয়ামিলীগের হাত থেকে)
No comments:
Post a Comment